রমজান মাস ২০২৫ সালে কত তারিখে শুরু হবে?
আমরা যেমন আগেই বলেছি, ২০২৫ সালের রমজান মাস কবে শুরু হবে সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ, রমজান মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। ইসলামিক ক্যালেন্ডার চন্দ্র ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে, তাই প্রতি মাস ২৯ অথবা ৩০ দিনের হয়। রমজান মাস শুরু হয় যখন নতুন চাঁদ দেখা যায়।
তবে, আমরা জ্যোতির্বিদ্যা অনুসারে অনুমান করতে পারি যে,রোজার সময়সূচি ২০২৫
২০২৫ সালের মার্চ মাসের শেষের দিকে অথবা এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে রমজান মাস শুরু হতে পারে। চাঁদ দেখা মাত্র ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে রমজান মাসের সঠিক তারিখ ঘোষণা করা হবে। তোমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট, টিভি, রেডিও, অথবা খবরের কাগজে রমজান মাসের তারিখ জেনে নিতে পারবে।
রোজার সময়সূচি ২০২৫
রমজান মাস শুরু হওয়ার পর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিদিনের সেহরি আর ইফতারের সময় ঘোষণা করবে। এই সময়সূচি তোমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট, টিভি, রেডিও, এবং খবরের কাগজে পেয়ে যাবে। এছাড়াও, তোমাদের মোবাইলে অনেক অ্যাপ আছে যেগুলোতে রমজান ২০২৫ ক্যালেন্ডার, রমজান মাসের ইফতারি ও সেহেরির সময়সূচি এবং রোজার সময়সূচি বাংলাদেশ ২০২৫ দেখাবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫
রমজান ২০২৫: সেহরি ও ইফতারের নির্ধারিত সময়
রমজান | তারিখ | বার | সেহেরির শেষ সময় (AM) | ইফতারের সময় (PM) |
---|---|---|---|---|
১ | ১ মার্চ ২০২৫ | শনিবার | ৫:১৮ | ৫:৩০ |
২ | ২ মার্চ ২০২৫ | রবিবার | ৫:১৭ | ৫:৩০ |
৩ | ৩ মার্চ ২০২৫ | সোমবার | ৫:১৭ | ৫:৩১ |
৪ | ৪ মার্চ ২০২৫ | মঙ্গলবার | ৫:১৬ | ৫:৩১ |
৫ | ৫ মার্চ ২০২৫ | বুধবার | ৫:১৬ | ৫:৩২ |
৬ | ৬ মার্চ ২০২৫ | বৃহস্পতিবার | ৫:১৫ | ৫:৩২ |
৭ | ৭ মার্চ ২০২৫ | শুক্রবার | ৫:১৫ | ৫:৩৩ |
৮ | ৮ মার্চ ২০২৫ | শনিবার | ৫:১৪ | ৫:৩৩ |
৯ | ৯ মার্চ ২০২৫ | রবিবার | ৫:১৪ | ৫:৩৪ |
১০ | ১০ মার্চ ২০২৫ | সোমবার | ৫:১৩ | ৫:৩৪ |
১১ | ১১ মার্চ ২০২৫ | মঙ্গলবার | ৫:১৩ | ৫:৩৫ |
১২ | ১২ মার্চ ২০২৫ | বুধবার | ৫:১২ | ৫:৩৫ |
১৩ | ১৩ মার্চ ২০২৫ | বৃহস্পতিবার | ৫:১২ | ৫:৩৬ |
১৪ | ১৪ মার্চ ২০২৫ | শুক্রবার | ৫:১১ | ৫:৩৬ |
১৫ | ১৫ মার্চ ২০২৫ | শনিবার | ৫:১১ | ৫:৩৭ |
১৬ | ১৬ মার্চ ২০২৫ | রবিবার | ৫:১০ | ৫:৩৭ |
১৭ | ১৭ মার্চ ২০২৫ | সোমবার | ৫:১০ | ৫:৩৮ |
১৮ | ১৮ মার্চ ২০২৫ | মঙ্গলবার | ৫:০৯ | ৫:৩৮ |
১৯ | ১৯ মার্চ ২০২৫ | বুধবার | ৫:০৯ | ৫:৩৯ |
২০ | ২০ মার্চ ২০২৫ | বৃহস্পতিবার | ৫:০৮ | ৫:৩৯ |
২১ | ২১ মার্চ ২০২৫ | শুক্রবার | ৫:০৮ | ৫:৪০ |
২২ | ২২ মার্চ ২০২৫ | শনিবার | ৫:০৭ | ৫:৪০ |
২৩ | ২৩ মার্চ ২০২৫ | রবিবার | ৫:০৭ | ৫:৪১ |
২৪ | ২৪ মার্চ ২০২৫ | সোমবার | ৫:০৬ | ৫:৪১ |
২৫ | ২৫ মার্চ ২০২৫ | মঙ্গলবার | ৫:০৬ | ৫:৪২ |
২৬ | ২৬ মার্চ ২০২৫ | বুধবার | ৫:০৫ | ৫:৪২ |
২৭ | ২৭ মার্চ ২০২৫ | বৃহস্পতিবার | ৫:০৫ | ৫:৪৩ |
২৮ | ২৮ মার্চ ২০২৫ | শুক্রবার | ৫:০৪ | ৫:৪৩ |
২৯ | ২৯ মার্চ ২০২৫ | শনিবার | ৫:০৪ | ৫:৪৪ |
৩০ | ৩০ মার্চ ২০২৫ | রবিবার | ৫:০৩ | ৫:৪৪ |
সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে আমরা সারা দিন রোজা রাখার জন্য শক্তি সঞ্চয় করি। আর ইফতারের মাধ্যমে আমরা রোজা শেষ করি এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি।
রোজা সম্পর্কে কুরআনের আয়াত
আমাদের পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা রোজা সম্পর্কে বলেছেন,
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।” (সূরা আল-বাকারা: ১৮৩)
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন যে, রোজা সব মুসলমানের জন্য ফরজ। রোজা রাখলে আমরা আল্লাহকে ভয় করতে শিখি, আর খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকি। রোজা আমাদের ধৈর্য, সহিষ্ণুতা এবং আত্মসংযম শিখায়। রোজা রাখার মাধ্যমে আমরা আমাদের নফসের উপর বিজয় লাভ করতে পারি এবং আল্লাহর কাছে আরও কাছে যেতে পারি।
রোজার আয়াত ও হাদিস
রোজা সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ আয়াত ও হাদিস নিচে দেওয়া হলো:
কুরআনের আয়াত:
“রমজান মাস, যাতে কুরআন নাজিল হয়েছে, মানুষের জন্য হেদায়াত স্বরূপ এবং সৎপথ এবং সত্য-অসত্যের পার্থক্যকারী নিদর্শন স্বরূপ।” (সূরা আল-বাকারা: ১৮৫)
এই আয়াতে বলা হয়েছে যে, রমজান মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। কারণ, এই মাসে আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য কুরআন নাজিল করেছেন। কুরআন হলো আমাদের জন্য সঠিক পথের নির্দেশনা।
হাদিস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখবে, তার অতীতের সকল ছোট পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” (বুখারি ও মুসলিম)
এই হাদিসে বলা হয়েছে যে, যারা বিশ্বাসের সাথে এবং আল্লাহর কাছে পুরস্কার পাওয়ার আশায় রোজা রাখবে, আল্লাহ তাআলা তাদের আগের করা সব ছোট পাপ ক্ষমা করে দেবেন।
রোজার মাসের ফজিলত
রমজান মাস কেবল রোজা রাখার মাসই নয়, এটি আল্লাহর অশেষ রহমত ও বরকত লাভের মাস। এই মাসে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের জন্য অফুরন্ত রহমত করেন। রমজান মাসের ফজিলত অপরিসীম। এই মাসে পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখবে, তার অতীতের সকল ছোট পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” (বুখারি ও মুসলিম)
রমজান মাসে জান্নাতের দরজা খোলা থাকে এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ থাকে। এই মাসে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। রমজান মাসে লাইলাতুল কদর রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই রাতে ইবাদত করলে অনেক সওয়াব লাভ হয়। রমজান মাসে মুসলমানরা আল্লাহর ইবাদতে বেশি মনোযোগী হয়। তারা কুরআন তিলাওয়াত করে, নামাজ পড়ে, জিকির-আজকার করে এবং দান-খয়রাত করে। এই সকল আমলের মাধ্যমে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করে। রমজান মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং আত্মসংযমের শিক্ষা দেয়। এই মাসে আমরা ধৈর্য ধারণ করতে শিখি এবং আমাদের নফসের উপর বিজয় লাভ করতে পারি।
রোজার মাসের আমল
রমজান মাস হলো ইবাদত-বন্দেগীর মাস। এই মাসে মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য বিভিন্ন আমল করে থাকে। রোজা রাখার পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে যেগুলো পালন করলে আমরা আল্লাহর অধিক রহমত ও বরকত লাভ করতে পারি।
কুরআন তিলাওয়াত: রমজান মাসে যথাসম্ভব বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা উচিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) এই মাসে জিব্রাইল (আ.) এর সাথে কুরআন খতম করতেন। কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কথা শুনতে পাই এবং আমাদের জীবনে সেগুলো প্রয়োগ করতে পারি।
তারাবির নামাজ:
প্রতি রাতে তারাবির নামাজ আদায় করা রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। তারাবির নামাজ আমাদের শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং আমাদের আল্লাহর কাছে আরও কাছে নিয়ে যায়।
জিকির-আজকার: আল্লাহর জিকির এবং আজকার করা রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহর নাম স্মরণ করলে আমাদের মন শান্ত হয় এবং আমরা আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত হই।
দোয়া: আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং রমজানের দোয়া করা এই মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের দোয়া কবুল করেন।
সাদকা: দরিদ্র এবং অভাবী মানুষদের সাহায্য করা রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। রমজান মাসে গরীব মানুষদের সাহায্য করলে আমরা আল্লাহর কাছে আরও বেশি পুরস্কার পাবো।
ইতেকাফ: রমজান মাসের শেষ দশ দিন মসজিদে ইতেকাফ করা এই মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। ইতেকাফ করলে আমরা আল্লাহর ইবাদতে আরও বেশি মনোযোগী হতে পারি এবং লাইলাতুল কদর প্রাপ্তির সুযোগ পাই।
এই সকল আমলের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করি এবং আমাদের জীবনে শান্তি ও সফলতা লাভ করতে পারি।
২০২৫ সালের লাইলাতুল কদর কত তারিখে?
লাইলাতুল কদর হলো রমজান মাসের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রাত। যদিও আমাদের আলোচনার মূল বিষয় হলো রোজার সময়সূচি ২০২৫।এই রাতে আল্লাহ তাআলা কুরআন নাজিল করেছিলেন। এই রাতে ইবাদত করলে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে বেশি সওয়াব লাভ হয়। লাইলাতুল কদর কোন রাতে তা নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, লাইলাতুল কদর রমজান মাসের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে খোঁজা উচিত।
২০২৫ সালে লাইলাতুল কদর কবে হবে তা চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে। তবে, আমরা ধারণা করতে পারি যে, রমজান মাসের শেষ দশকের যেকোনো একটি বেজোড় রাত শবে কদর হতে পারে।
রমজানের বিশেষ সময় এই লাইলাতুল কদর প্রাপ্তির জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের উচিত রমজান মাসের শেষ দশ দিন বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগী করা। আমরা কুরআন তিলাওয়াত করতে পারি, নামাজ পড়তে পারি, জিকির-আজকার করতে পারি এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে লাইলাতুল কদরের ফজিলত লাভ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
বাংলা মাসের কত তারিখ রোজা ২০২৫?
২০২৫ সালে রমজান মাস বাংলা ক্যালেন্ডারের কোন তারিখে শুরু হবে তা নির্ভুলভাবে বলা মুশকিল। কারণ, ইসলামিক ক্যালেন্ডার চন্দ্র ক্যালেন্ডারের উপর নির্ভরশীল। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাসের সঠিক তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
তবে, আমরা আনুমানিক ভাবে বলতে পারি যে, ২০২৫ সালে রমজান মাস বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চৈত্র মাসের শেষের দিকে অথবা বৈশাখ মাসের শুরুর দিকে হতে পারে।
ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১ মার্চ শনিবার। জ্যোতির্বিদদের মতে, এই দিন রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি ১ মার্চ চাঁদ দেখা যায়, তাহলে ২ মার্চ রোববার থেকে রোজা শুরু হতে পারে
রমজান ক্যালেন্ডার ২০২৫ এবং রোজার সময়সূচি ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তোমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসা
২০২৫ সালের শবে বরাত কত তারিখ?
শবে বরাত হলো শাবান মাসের ১৪ তম রাত, যা মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতকে মুক্তির রাত বলা হয়। এই রাতে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন এবং অনেক রহমত ও বরকত নাজিল করেন। মুসলমানরা এই রাতে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী করে এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
২০২৫ সালে শবে বরাত কবে তা এখনো নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ, ইসলামিক ক্যালেন্ডার চন্দ্র ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে শাবান মাসের ১৪ তম রাত নির্ধারণ করা হবে। তবে, আমরা ইসলামিক ক্যালেন্ডার ২০২৫ অনুসারে আনুমানিক ভাবে বলতে পারি যে, ২০২৫ সালে শবে বরাত ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যভাগে হতে পারে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে শবে বরাতের সঠিক তারিখ ঘোষণা করা হবে। তোমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট অথবা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শবে বরাতের তারিখ ২০২৫ জেনে নিতে পারবে।
শবে বরাত ২০২৫ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত।রোজার সময়সূচি ২০২৫ জানলে আপনারা এটি সম্পর্কে জানতে পারবেন।এই রাতে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী করলে আমরা আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করতে পারি।
২০২৫ সালের রমজান ঈদ কত তারিখ?
ঈদুল ফিতর, যা রমজান ঈদ নামেও পরিচিত, হলো মুসলমানদের জন্য একটি অনেক বড় উৎসব। এই ঈদ আসে রমজান মাসের শেষে। রোজার শেষ দিন ২০২৫ এর পরের দিন হবে ঈদুল ফিতর। রমজান মাস জুড়ে রোজা রাখার পর মুসলমানরা এই ঈদ উদযাপন করে।
২০২৫ সালে রমজান ঈদ কবে তা এখনো নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ, ঈদের তারিখ নির্ভর করে চাঁদ দেখার উপর। রমজান মাস শেষ হওয়ার পর নতুন চাঁদ দেখা গেলে তার পরের দিন ঈদ হয়।
তবে, আমরা ইসলামিক ক্যালেন্ডার ২০২৫ অনুসারে আনুমানিক ভাবে বলতে পারি যে, ২০২৫ সালে রমজান ঈদ মার্চ মাসের শেষের দিকে অথবা এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে হতে পারে। জ্যোতির্বিদদের মতে, ২০২৫ সালের ৩০ অথবা ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে ঈদের সঠিক তারিখ ঘোষণা করা হবে। তোমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট অথবা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ঈদের তারিখ ২০২৫ জেনে নিতে পারবে।
ঈদুল ফিতর ২০২৫ উদযাপনের জন্য মুসলমানরা নতুন জামাকাপড় পরে, ঈদের নামাজ আদায় করে এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে। এই দিন তারা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে এবং তার রহমত প্রার্থনা করে
রোজার সময়সূচি ২০২৫ নিয়ে শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আশা করি “রোজার সময়সূচি ২০২৫“ নিয়ে লেখা এই বিস্তারিত গাইডটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে। এই লেখায় আমি রমজান ক্যালেন্ডার ২০২৫, রমজান মাসের ইফতারি ও সেহেরির সময়সূচি, রোজার ফজিলত, রমজানের আমল, এবং লাইলাতুল কদর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা এখান থেকে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫ বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আমরা জানি যে, রোজার তারিখ ২০২৫ এবং রমজানের সময়সূচি ২০২৫ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে। তাই আপনাদের ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ওয়েবসাইট অথবা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতি নজর রাখতে হবে।
মনে রাখবেন, রোজা শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকা নয়, এটি আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি মাধ্যম। আশা করি আমরা সকলে এই রমজান মাসে আল্লাহর আনুগত্য করে এবং তার রহমত লাভ করবো।
রমজান মাসের ইফতারি ও সেহেরির সময়সূচি, রমজানের সময়সূচি, সেহেরির শেষ সময়, ইফতারির সময়, রমজান ক্যালেন্ডার ২০২৫, রোজার সময়সূচি, রমজান মাসের তারিখ, ইফতার ও সেহেরির সময়সূচি, ইসলামিক ক্যালেন্ডার ২০২৫, রমজানের বিশেষ সময়, সেহেরির সময়সূচি বাংলাদেশ, ইফতারির সময়সূচি ঢাকা, সেহেরি ও ইফতারের সময়, রোজার সময়সূচি ২০২৫, ইসলামিক রোজা সময়সূচি, বাংলাদেশে রমজান সময়, রমজানের নামাজের সময়, রমজানের সময়সূচি ২০২৫ বাংলাদেশ, ইসলামিক রোজার সময়সূচি, ইফতার ও সেহেরির ক্যালেন্ডার।
COMMENTS