প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | Protidan kobita CQ
প্রতিদান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | Protidan kobita CQ
১. এক বুড়ি হযরত মুহম্মদ (স.) এর চলার পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখতো এবং পথ চলতে নবির পায়ে কাঁটা ফুটলে আনন্দিত হতো। একদিন পথে কাঁটা না দেখে নবিজী চিন্তায় পড়ে গেলেন এবং বুড়ির বাড়িতে গিয়ে দেখলেন বুড়ি অসুস্থ। নবি (স.) কে দেখে বুড়ি ভীত হলেন। তিনি বুড়িকে ক্ষমা করে দিলেন এবং সেবাযত্ন দিয়ে সুস্থ করে তুললেন।
ক. কবি কাকে বুকভরা গান দেন?
খ. কবিকে যে পর করেছে তাঁকে আপন করার জন্য কেঁদে বেড়ান কেন?
গ. উদ্দীপকের ভাবের সাথে 'প্রতিদান' কবিতার মূলভাবের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. 'উদ্দীপক ও 'প্রতিদান' কবিতার ভাবার্থ ধারণ করলে একটি সুন্দর সমাজ গড়া সম্ভব'- বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কবিকে যে বিষে-ভরা বাণ দিয়েছে, কবি তাকে বুকভরা গান দেন। খ. ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে পরার্থপরতার মাধ্যমে সুখী ও সমৃদ্ধ পৃথিবী নির্মাণ করতে চান বলে কবিকে কেউ পর করলেও কবি তাকে আপন করতে
কেঁদে বেড়ান।
'প্রতিদান' কবিতার কবি প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা আর বিভেদে বিশ্বাস করেন না। তিনি মনে করেন, ভালোবাসাপূর্ণ মানুষই নির্মাণ করতে পারে র, নিরাপদ পৃথিবী। অনিষ্টকারীর ক্ষতি না করে তার উপকার করাই সুন্দর, কবির আদর্শ। তাই কবিকে যে পর করে, কবি তাকে আপন করতে কেঁদে বেড়ান।
গ. উদ্দীপকের ভাবের সাথে 'প্রতিদান' কবিতার মূলভাবের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হচ্ছে, অনিষ্টকারীকে কেবল ক্ষমা করেই নয় প্রতিদান হিসেবে তার উপকার করাই মানবজাতির আদর্শ হওয়া উচিত।
'প্রতিদান' কবিতায় কবি বলতে চেয়েছেন, মানুষের জীবনের প্রকৃত সুখ ও সার্থকতা অপরের কল্যাণেই নিহিত। ত্রুটিপূর্ণ সমাজব্যবস্থায় বিভেদ- হিংসা-হানাহানি দ্বারা আক্রান্ত হলেও কবি দয়া, ভালোবাসা ও সহমর্মিতায় বিশ্বাস করেন। লোভ-লালসা, প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার বিপরীতে ভালোবাসাপূর্ণ সুন্দর, নিরাপদ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন কবি। কষি অনিষ্টকারীর উপকার করার মাধ্যমে মহানুভবতার শক্তিতে পৃথিবীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করতে চেয়েছেন।
উদ্দীপকে যে বুড়ি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর চলার পথে কাঁটা বিছিয়ে তাঁকে কষ্ট দিতে চেয়েছে, নবিজী তাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছেন। শুধু তাই নয়, বুড়ির বিপদে তাকে সাহায্য করেছেন। তাই বলা যায়, অনিষ্টকারীকে ক্ষমা করে, তার মঙ্গল কামনাই মানবজাতির মূল লক্ষ্য, যা উদ্দীপকের ভাবের সাথে 'প্রতিদান' কবিতার মূলভাবের সাদৃশ্য নির্দেশ করে।
ঘ. উদ্দীপক ও 'প্রতিদান' কবিতার ভাবার্থ বিভেদ-হিংসা-হানাহানির পরিবর্তে প্রীতি, দয়া, ভালোবাসা ও পরোপকার যা মনে ধারণ করলে একটি সুন্দর সমাজ গড়া সম্ভব।
'প্রতিদান' কবিতায় কবি ক্ষুদ্র স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে পরার্থপরতার মধ্যেই যে ব্যক্তির প্রকৃত সুখ ও জীবনের সার্থকতা নিহিত সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। সমাজ-সংসারে বিদ্যমান বিভেদ-হিংসা-
হানাহানি যারা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও কবির কণ্ঠে প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার বিপরীতে ব্যক্ত হয়েছে প্রীতিময় এক পরিবেশ সৃষ্টির আকাংক্ষা। উদ্দীপকে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর জীবনাদর্শ ফুটে উঠেছে। সেখানে এক বুড়ি নবি (স.)-এর পথে কাঁটা বিছিয়ে তাঁকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পেত। কিন্তু একদিন নবিজী পথে কাঁটা দেখতে না পেয়ে বিচলিত হয়ে বুড়ির খোঁজ নিতে তার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি। জানতে পারলেন বুড়ি অসুস্থ। তখন নবি (স.) বুড়িকে ক্ষমা করে দিয়ে সেবাযত্ন করে বুড়িকে সুস্থ করে তুললেন। 'প্রতিদান' কবিতায় অনিষ্টকারীকে ক্ষমা করে তার উপকারের যে আহ্বান ধ্বনিত হয়েছে সেটিই উদ্দীপকে প্রকাশ লাভ করেছে। পরার্থে জীবন উৎসর্গ করাতেই মানবজন্মের সার্থকতা নিহিত। মহৎ হৃদয়ের ব্যক্তিগণ আত্মত্যাগের মহিমায় ভাস্কর। নিজের বৃহত্তর কল্যাণ সাধনে তারা সর্বদা তৎপর থাকেন। উদ্দীপকে হযরত (স.)-মাশীলতা এবং মহৎ উ দূর কায় নিজেকে নিবেদন করেন। তেমনি 'প্রতিদান' কবিতায় কবি অনিষ্টকারীকে কেবল ক্ষমা করেই নয়, প্রতিদান হিসেবে ভিজ উপকার করার মাধ্যমে পৃথিবীকে সুন্দর, বাসযোগ্য করতে চেয়েছেন। ভাই বলা যায়, উদ্দীপক ও 'প্রতিদান' কবিতায় ভাবার্থ করে করলে একটি সুন্দর সমাজ গড়া সম্ভব।
২. ফতেপুর গ্রামের সমিরউদ্দীন ও রহিমউদ্দীন দুই ভাই। বড়ো ভাই সমিরউদ্দীন ছোটো ভাই রহিমউদ্দীনকে ঠকিয়ে বাবার সঙ্গী সম্পত্তি আত্মসাৎ করে। বর্তমানে সমিরউদ্দীন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত। এই বিপদের দিনে কেউ তার পাশে নেই। কিন্তু ছোটো ভাই রহিমউদ্দীন সব ভুলে সমিরউদ্দীনের পাশে দাঁড়িয়েছে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সে- ই ভাইকে সুস্থ করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
ক. পল্লিকবি জসীমউদ্দীন কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?
খ. 'আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর' এ পন্থিজতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের রহিমউদ্দীন চরিত্রের সাথে প্রতিদান কবিতার কবিভাবনার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. "প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও 'প্রতিদান' কবিতার মূল লক্ষ্য একই।' বিশ্লেষণ করো।
• ২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক.পল্লিকবি জসীমউদ্দীন ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
খ.আলোচ্য পঃজিতে কবি অনিষ্টকারীকে ক্ষমা করে তার উপকার করার কথা বলেছেন।
কবি প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা আর হানাহানিতে বিশ্বাস করেন না। তিনি মহৎ হৃদয়ের মানুষ। শান্তিময়, নিরাপদ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন বসেই তাঁর ঘর যে ভেঙেছে তিনি তাকেই ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। অর্থাৎ শত্রুকে ক্ষমা করে পরম আপন করে নিয়েছেন।
গ. অনিষ্টকারীকে ক্ষমা করে তার উপকার করার মধ্য দিয়ে ভালোবাসাপূর্ণ
পৃথিবী বিনিমার্ণের প্রেক্ষিতে উদ্দীপকের রহিমউদ্দীনের সাথে 'প্রতিদান' কবিতার কবিভাবনার সাদৃশ্য রয়েছে।
'প্রতিদান' কবিতায় কবি অনিষ্টকারীকে ক্ষমা করে তার উপকার করার মাধ্যমে সুন্দর, নিরাপদ পৃথিবী নির্মাণ করতে চেয়েছেন। কবি তাকেই ঘর বেঁধে দিতে চেয়েছেন যে কবির ঘর ভেঙে দিয়েছে। যে কবিকে পর করেছে তাকেই কবি আপন করতে কেঁদে বেড়িয়েছেন কবি বিষে-ভরা বাণের পরিবর্তে বুকভরা গান দিতে চেয়েছেন। মূলত কবি সমাজ- সংসারের যাবতীয় বিভেদ-হিংসা-হানাহানির বিপরীতে প্রেম ভালোবাসা ও উদারতার বার্তা পৌঁছাতে চেয়েছেন।
উদ্দীপকের রহিমউদ্দীন তার বড়ো ভাই সমিরউদ্দীন দ্বারা বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়। তবুও রহিমউদ্দীন তার ভাইকে ক্ষমা ক দেয় এবং ভাইয়ের বিপদে সাহায্যের হাত বাড়ায়। 'কোভিড-১৯'-এ আক্রান্ত সমিরউদ্দীন যখন সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন কর তখন রহিমউদ্দিন ভাইয়ের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে। তাই বলা যায়, প্রতিদান' কবিতায় কবি যেমন অনিষ্টকারীকে ক্ষমা কর তার উপকারের মধ্য দিয়ে সর্বময় কল্যাণের কথা বলেছেন, উদ্দীপকের রহিমউদ্দীন ও তেমনই চেতনা ধারণ করে বড়ো ভাইয়ের অপরাধ ক্ষমা করে তার সেবার ব্রত নিয়েছে।
ঘ. প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও 'প্রতিদান' কবিতার মূল লক্ষ্য মানবতার জয়গান।
'প্রতিদান' কবিতায় কবি ক্ষুদ্র স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে মানবতার বৃহৎ কল্যাণে আত্মনিয়োগের কথা বলেছেন। অন্যের উপকারের মধ্যেই ব্যক্তির প্রকৃত সুখ ও জীবনের সার্থকতা নিহিত বলে কবি মনে করেন। সমাজ-সংসারে বিদ্যমান বিভেদ-হিংসা-হানাহানি দ্বারা আক্রান্ত হলেও। কবি সকল সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে মানবতার জয়গান গেয়েছেন। উদ্দীপকের রহিমউদ্দীন বড়ো ভাই হারা বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কিন্তু এ কারণে সে বড়ো ভাইয়ের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়নি বরং তাকে ক্ষমা করে দিয়েছে। তাছাড়া বড়ো ভাই 'কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হলে ভাইয়ের সুস্থতার জন্য তার পাশে দাঁড়িয়েছে। অনিষ্টকারীর প্রতি ক্ষোভ পোষণ না করে তার প্রতি ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় কথা 'প্রতিদান' কবিতায়ও বলা হয়েছে।
'প্রতিদান' কবিতায় কবি ক্ষমাশীলতা ও উদারতার পথ নির্দেশ করেছেন। কবিতায় কবি তাদের জন্য এগিয়ে এসেছেন যারা তার ক্ষতি করে। যারা তাঁকে কাঁদিয়েছে, তাদের মালের জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। বিষে ভরা বাদ পেলেও কবি বুকভরা গান উপহার দিয়েছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকে বড়ো ভাই যারা শোষণের শিকার রহিমউদ্দীনের মহানুভবতা ফুটে উঠেছে। বড়ো ভাই সমিরউদ্দীন তাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করলেও সে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ভাইয়ের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। তাই উদ্দীপক ও জাগোচা কবিতার প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও মূল লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। আর তা হলো প্রতিশোধ ও হিংসার মনোভাব পরিত্যাগ করে উপায় ও মানবিক হয়ে ওঠা।
৩. বজলু মতিন মণ্ডলের চায়ের দোকানে কাজ করে। একদিন বজলু চায়ের কাপ পরিষ্কার করতে গিয়ে অসতর্কতাবশত দুটি কাপ ভেঙে ফেলে। এতে মতিন মণ্ডল তাকে অনেক মারধর করে। রাতের কাজ শেষে যখন বজলু বাড়ি ফিরবে হঠাৎ সে দোকানের ক্যাশ বাক্সের পাশে কিছু টাকা দেখতে পায়। তার বুঝতে দেরি হয় না যে, দোকানির মালিক টাকা বাক্সে তুলতে ভুলে গেছে। পরদিন কাজে এসে বালু মতিন মণ্ডলকে টাকাগুলো ফেরত দেয়। তখন মতিন মিয়া বজলুকে শাস্তি দেওয়ার জন্য অনুতপ্ত হয় এবং বজলুর বেতন বাড়িয়ে দেয়।
ক. 'নিরন্তর' শব্দের অর্থ কী?
খ. 'ফুল করি দান সারাটি জনম-ভর' পঙক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সাথে প্রতিদান' কবিতার সাদৃশ্য আলোচনা করো।
ঘ. 'মতিন মণ্ডলের মানসিক পরিবর্তন যেন কবির ভালোবাসাপূর্ণ পৃথিবী নির্মাণের সহায়ক।'- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
ক. 'নিরন্তর' শব্দের অর্থ- অবিরাম।
খ.কবি অহিংসা ও মানবতায় বিশ্বাসী বলে সারাটি জীবন ফুল দান করেছেন।
কবি কখনো অনিষ্টকারীর ওপর প্রতিশোধ গ্রহণ চান না। তিনি অনিষ্টকারীকে ক্ষমা করে, তার বিপদে পাশে থাকতে চান। তাই কেউ কবিকে কাঁটা দিলেও প্রতিদান হিসেবে কবি তাকে ফুল দিয়ে যাবেন সারাজীবন। কারণ প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ নয় বরং ভালোবাসাই পৃথিবীতে সুন্দর করে তুলতে পারে বলে কবির বিশ্বাস।
গ. অনিষ্টকারীর মঙ্গল কামনা করার প্রেক্ষিতে উদ্দীপকের সাথে 'প্রতিদান' কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে।
'প্রতিদান' কবিতায় কবি অনিষ্টকারীকে ক্ষমা করে দিতে বলেছেন। প্রয়োজন হলে উপকার করে অনিষ্টকারীকে প্রতিদান দিতে বলেছেন। কারণ কবি হিংসা-বিদ্বেষে বিশ্বাস করেন না। তিনি মনে করেন, ভালোবাসাই পৃথিবীতে চূড়ান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে। প্রতিহিংসাড় প্রতিশোধ কখনো মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। তাই ক্ষমা ও দায়িত্বশীল
আচরণই মানুষকে একত্রিত করতে পারে।
উদ্দীপকের মতিন মণ্ডলের দুটি কাপ ভেঙে ফেললে বজলুকে অনেক মারধর সহ্য করতে হয়। কিন্তু তবুও বজলু তার মনিবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। সে মনিবের আমানত ফিরিয়ে দিয়েছে। তাই বলা যায়, মনিরের অত্যাচার সহ্য করেও তার প্রতি সৎ ও দায়িত্বশীল থাকার মাধ্যমে বজলুর মাঝে অনিষ্টকারীকে ক্ষমা প্রদর্শন করে, তার মঙ্গলকামনার মানসিকতায় বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এ দিকটি 'প্রতিদান'
কবিতার সাথে সংগতিপূর্ণ। ঘ. বজলুর সৎ ও দায়িত্বশীল আচরণের জন্য মতিন মণ্ডলের মধ্যে যে অনুশোচনার জন্ম হয়, সেই বিষয়টিই পারে 'প্রতিদান' কবিতার কবির ভালোবাসাপূর্ণ পৃথিবীর স্বপ্ন পূরণ করতে।
'প্রতিদান' কবিতায় কবি ক্ষুদ্র স্বার্থকে তুচ্ছ করে সমষ্টির জন্য কাজ করতে আগ্রহী। সমাজ-সংসারে বিভেদ-হিংসা-হানাহানি দ্বারা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও কবির কণ্ঠে প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার বিপরীতে প্রীতিময় পরিবেশ সৃষ্টির বাসনা ব্যক্ত হয়েছে। কবির মতে, ভালোবাসাপূর্ণ মানুষই নির্মাণ করতে পারে নিরাপদ পৃথিবী। মানুষ যদি হিংসা, লোভ, ঈর্ষা, হিংস্রতা না ছড়িয়ে ভালোবাসার প্রসার ঘটায় তবেই পৃথিবীতে শাস্তি বিরাজ করবে।
উদ্দীপকের মতিন মণ্ডল সামান্য দুটি চায়ের কাপ ভাঙার জন্য বজলুর ওপর নির্যাতন করে। তার বিনিময়ে বজলু সং ও দায়িত্বশীলতায় পরিচয় দেয় টাকা ফিরিয়ে দিয়ে। তখন মতিন মণ্ডলের মধ্যেও শুভবোধের উদয় ঘটে। সে সামান্য কারণে বজলুকে শান্তি দিয়েছে বলে অনুতপ্ত বোধ করে এবং বজলুর সততায় মুগ্ধ হয়ে তার বেতন বাড়িয়ে দেয়। ভালোবাসার শক্তিতে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আমার প্রত্যয় ব্যস্ত হয়েছে 'প্রতিদান' কবিতায়ও।
উদ্দীপকের বজল যদি সততার পরিচয় না দিত তবে হয়তো মতিন মণ্ডলের মানসিক পরিবর্তন হতো না। সে অন্ধকারেই গড়ে থাকত। তাই ক্ষমা ও ভালোবাসা দিয়ে অমঙ্গলকে দূর করা যায়। মূলত 'প্রতিদান'
COMMENTS