৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর শিখনকালীন মূল্যায়ন নির্দেশনা পিডিএফ এবং বার্ষিক পরীক্ষা ২০২৪ | Barshik ShikonKhalin Mullayon Nirdesika 2024
৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর শিখনকালীন মূল্যায়ন নির্দেশনা পিডিএফ এবং বার্ষিক পরীক্ষা ২০২৪ | Barshik ShikonKhalin Mullayon Nirdesika 2024
২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত নির্দেশনা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নং- ৩৭.০০.০০০০.০৯১.৩৯.০০১.২৪.৫১৮ তারিখ ০১.০৯.২০২৪ এর প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, প্রশ্নের ধারা ও মানবণ্টন সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়েছে। সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ধারার মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিখনকালীন এবং বার্ষিক পরীক্ষা পরিমার্জিত মূল্যায়ন নির্দেশনার আলোকে অনুষ্ঠিত হবে। তবে মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষার বিশেষায়িত বিষয়সমূহের এবং দশম শ্রেণির মূল্যায়ন কার্যক্রম পূর্বের ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয়:
২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ প্রসঙ্গে।
উপর্যুক্ত বিষয় ও এনসিটিবি কর্তৃক ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির জন্য প্রণীত মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার সাধারণ নির্দেশনা এবং ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির সকল বিষয়ের মূল্যায়ন নির্দেশনা, সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি, প্রশ্নের কাঠামো, নম্বর বণ্টন ও নমুনা প্রশ্নপত্র পরবর্তী কার্যার্থে এতদসঙ্গে নির্দেশক্রমে প্রেরণ করা হলো।
- ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম এবং নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ এর আলোকে প্রণীত পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে।
- মূল্যায়ন কার্যক্রম শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষা দুটি ভাগে অনুষ্ঠিত হবে।
- সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে শিক্ষকগণের দ্বারা শিখনকালীন মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা এবং প্রদত্ত প্রশ্নপত্রের নমুনা অনুসরণ করে বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করবেন। তবে কোনোক্রমেই নমুনা প্রশ্নপত্র হবহু ব্যবহার করা যাবে না। প্রণীত প্রশ্নের সাহায্যে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করবেন।
- প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন কার্যক্রমের মোট নম্বর হবে ১০০। এর মধ্যে শিখনকালীন মূল্যায়নের গুরুত্ব (Weightage) হবে ৩০% এবং পরীক্ষার গুরত্ব (Weightage) হবে ৭০%। বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক জিপি (GP) নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
- শিখনকালীন মূল্যায়নের নির্দেশনা:
- প্রতিটি বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকে নির্দেশিত একক কাজ, জোড়ায় কাজ, পোস্টার প্রেজেন্টেশনসহ যাবতীয় কার্যক্রম শিখনকালীন মূল্যায়নের 'মূল্যায়ন আইটেম' হিসেবে বিবেচিত হবে। শিখনকালীন মূল্যায়ন পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
- সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির আওতাধীন শিখনকালীন মূল্যায়নের যেসব কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং যেগুলো সামনে সম্পন্ন হবে সেগুলোর রেকর্ড যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
- শিখনকালীন মূল্যায়নের যাবতীয় কার্যক্রম বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর পূর্বেই সম্পন্ন করতে হবে।
- বার্ষিক পরীক্ষার/মূল্যায়নের নির্দেশনা:
- বার্ষিক পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।
- লিখিত পরীক্ষার মোট সময় হবে ৩ ঘণ্টা।
- লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নের নির্দেশিকা, প্রশ্নের কাঠামো, মানবণ্টন 'বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনায়' বিস্তারিত দেওয়া আছে।
- বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনায় প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্র দেওয়া আছে।
- লিখিত পরীক্ষার উত্তর লেখার জন্য পূর্বের ন্যায় বিদ্যালয় কর্তৃক প্রয়োজনীয় খাতা সরবরাহ করতে হবে।
- বার্ষিক ফলাফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক জিপি (GP) নির্ধারণ পদ্ধতি:
- শ্রেণি উত্তরণের জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ফলাফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ের মোট নম্বর হবে ১০০। এই ১০০ নম্বরের মধ্যে ধারাবাহিক/ শিখনকালীন মূল্যায়নের Weightage হবে ৩০% এবং লিখিত বার্ষিক পরীক্ষার Weightage হবে ৭০%।
- যেহেতু প্রত্যেক বিষয়ে ধারাবাহিক/ শিখনকালীন মূল্যায়নের জন্য বরাদ্দকৃত মোট নম্বর ৩০ এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য বরাদ্দকৃত মোট নম্বর ১০০, সেহেতু একজন শিক্ষার্থীর একটি বিষয়ের বার্ষিক ফলাফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে ঐ বিষয়ের ধারাবাহিক/ শিখনকালীন মূল্যায়নে তার প্রাপ্ত নম্বরের সাথে লিখিত বার্ষিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৭০% যোগ করে ঐ বিষয়ের বার্ষিক ফলাফল বা গ্রেড নির্ণয় করতে হবে।
উদাহরণ: ধরা যাক, বাংলা বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়নে মোট ৩০ নম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থী 'ক' এর প্রাপ্ত নম্বর ২৫ এবং লিখিত পরীক্ষার মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ৮০। বাংলা বিষয়ে তার বার্ষিক ফলাফল/গ্রেড নির্ধারণের ক্ষেত্রে তার ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত ২৫ নম্বরের সাথে লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত ৮০ নম্বরের ৭০% অর্থাৎ (৮০x৭০%) = ৫৬ যোগ করে বাংলা বিষয়ে তার প্রাপ্ত মোট নম্বর হবে (২৫+৫৬) = ৮১। বাংলা বিষয়ে শিক্ষার্থী 'ক' এর জিপি (GP- Grade Point) হবে ৫.০০ এবং লেটার গ্রেড হবে A+ ।
বিষয়ভিত্তিক ফলাফল প্রদানের ক্ষেত্রে নম্বরের পরিসর, গ্রেড পয়েন্ট ও লেটার গ্রেড
প্রাপ্ত নম্বর | গ্রেড পয়েন্ট | লেটার গ্রেড |
---|---|---|
৮০-১০০ | ৫.০০ | A+ |
৭০-৭৯ | ৪.০০ | A |
৬০-৬৯ | ৩.৫০ | A- |
৫০-৫৯ | ৩.০০ | B |
৪০-৭৯ | ২.০০ | C |
৩৩-৩৯ | ১.০০ | D |
০০-৩২ | ০০ | F |
একটি বিষয়ে সর্বনিম্ন D গ্রেড পেলে ঐ বিষয়ে শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ বলে বিবেচনা করা হবে। ৩ বা ততোধিক বিষয়ে কোনো শিক্ষার্থী D গ্রেড পেলে সে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না। তবে বিষয় শিক্ষকবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিশেষ বিবেচনায় তাকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের সুযোগ প্রদান করতে পারেন। বিশেষ বিবেচনার বিষয়টি শুধু ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য হবে।
COMMENTS